কিভাবে বুঝবেন আপনার সম্পর্কটি শেষঃ ২৬ টি লক্ষণে এই সত্যটি প্রকাশ পায়।
আপনার সম্পর্কের
অবস্থান সম্পর্কে আপনি অবগত নয়? এই ২৮ টি লক্ষণ দেখে আপনি
বুঝে জাবেন যে আপনার সম্পর্কটি শেষ এবং এখন আপনি তাকে ছেড়ে যাওয়া উচিত।
নিঃসন্দেহে একটি সম্পর্কের ভালো এবং খারাপ মুহূর্ত আছে। যখন আপনি নড়বড়ে জিনিসকে আঘাত করবেন তখন আপনি বুঝতে পারবেন না
ওটা কেমন কঠিন সময় ছিল তবে আপনার সম্পর্কটি শেষ হয়ে যাবে।
সম্পর্ক যে শেষ হয়ে গেছে সেটা জানতে পারলে খারাপ কিছু ঘটার আগেই আপনি সেখান থেকে বের হতে পারবেন।
যখন আপনি কাউকে ভালোবাসেন অথবা কারো পেছনে ভালোবাসার জন্য
সময় এবং চেষ্টা করেছেন তখন সম্পর্কটা কখন শেষ হবে
সেটা নির্ণয় করাটা কঠিন।
কেউ সম্পর্ক শেষ করে আনন্দ পায়না। এমন যদি হয় ওখানে গুরত্ব পূর্ণ জিনিস
নিয়ে মনোমালিন্য হয় তাহলে আপনি সেই সম্পর্কে আবার ফিরে যেতে চেষ্টা করবেন।
কিভাবে বুঝবেন আপনার সম্পর্কটি শেষ- ২৮ টি লক্ষণে আপনাকে
সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
এটা সত্যি যে আপনি আপনার অনুভূতি গুলো তার জন্য শেষ করে
দিতে চান না এমনকি আপনি আপনার ভাবনা বা নিজে একা হয়ে যেতে চান না এবং আপনি আবার সম্পর্কে ফিরে যেতে চান যদি এমন টি হয় তাহলে এগুলোই আপনাদের একসাথে
থাকার সঠিক কারন।
অন্যথায় আপনি শুধু সময় অপচয় করছেন সম্পর্ক খারাপ হয়ে আর নিচে নেমে যাবেন। কি দেখে বুঝবেন যে কখন আপনার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে
যাচ্ছে। হতে পারে এটা কঠিন কিন্তু নিচের লক্ষণ গুলো দেখুন যদি
দেখেন এইগুলো আপনার সম্পর্কের মধ্যে আছে তাহলে আপনার সম্পর্ক শেষ হওয়ার সময় এসে
গেছে।
১. আপনি প্রতিনিয়ত ঝগড়া করছেন। প্রতিনিয়ত ঝগড়া এবং গোপনীয় জিনিস তুলে আনা কারো
জন্য মজার না। যদি আপনি এগুলু থেকে বেরিয়ে
আসতে না পারেন তাহলে তাকে বিদায় বলার সময় এসে গেছে।
২. আপনি একিই জিনিস নিয়ে বার বার ঝগড়া করছেন। আপনি কি সব
সময় যুধ্ব করে যাবেন? আপনি যদি এটার সমাধান না করেন তাহলে এটা সারাজীবন লেগে ই
থাকবে। আপনি কি ঝগড়া বাদ দিবেন নাকি নাকি
উন্মাদের মত চালিয়ে যাবেন।
৩. প্রতারনা সম্পর্কে চিন্তা করুন। আপনি কি অন্যান্য
মানুষের ব্যাপারে চিন্তা করেন তাদের অবস্থান কি আপনি কি তাদের জায়গায় থাকতে চান।
আপনি কি প্রতারণা সম্পর্কে ভাবেন ,আপনি কি কখনও প্রতারিত হয়েছেন? যদি আপনি সেটা
অনুভব করেন তাহলে আপনি আপনার সম্পর্কের দিকে তাকান। সম্ভবত এটা চিন্তা করাটা আপনার
জন্য ভালো হবে।
৪. আপনি প্রতারিত হয়েছেন। যদি আপনি প্রতারিত হয়ে
থাকেন তাহলে আপনি তার উপর থেকে বিশ্বাস হারাবেন এবং আপনি আপনার সঙ্গীর উপর শ্রদ্ধা
হারাবেন। এটা হওয়ার কারন থাকতে পারে যদি
আপনার তার প্রতি আগ্রহ না থাকে তাহলে তার
থেকে দূরে যাওয়ার পরহ খুজুন সম্ভবত আপনাদের সম্পর্ক শেষ।
৫। আপনি তাদেরকে ছাড়া
স্বপ্ন দেখছেন। আপনি কি প্রতিনিয়ত চিন্তা করছেন
সঙ্গী ছাড়া আপনার জীবন অনেক আনন্দ দায়ক হত?
এটা কি আপানার মনকে ভারি করে তোলে? যদি সেটা হয় তাহলে হতে পারে আপনি তাদেরকে ছাড়া ভালো থাকতে
পারবেন।
৬. আপনার যৌন ইচ্ছে হ্রাস পাচ্ছে। ঠিক আছে অনেক দিনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতেকের
মধ্যে যৌন ইচ্ছেটা কিছুতা হ্রাস পায় কিন্তু যদি এমন হয় যে আপনার আর সেক্স করার
ইচ্ছে ই হচ্ছেনা তাহলে হতে পারে এটার ঝলকানি চলে গেছে।
৭. আপনার প্রচুর sex. আপনি
কি সেক্স করার সময় যুক্তিতর্কের সমাধান করেন?আপনার কি কথা বার্তা বলার চেয়ে সেক্স
এর প্রতি বেশি আগ্রহ। এটা খুব ভালো লাগে
,লাগে কি?
৮. আপনারা ভালো সময় গুলো একসাথে কাটাতে চান না। সম্পর্কের
ক্ষেত্রে একে অন্যকে সময় দেওয়া প্রয়োজন।
যদি সময় দেওয়ার বিষয়টি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না লাগে তাহলে আপনাদের
আলাদা হয়ে যাওয়া ই ভালো।
৯. আপনি বন্ধুদের কাছে তার বিষয়ে যন্ত্রণা প্রকাশ
করেন। যখনই আপনার বন্ধুদের সাথে দেখা হয়
আপনি কি আপনার সঙ্গীর ব্যাপারে যন্ত্রণা
বা হায় হুতাশ প্রকাশ করেন?যদি বন্ধুরা আপনাকে এই সম্পর্কের শেষ করতে বলে, এটা বলে
কারন তারা এটা শুনতে শুনতে বিরক্ত যে আপনি কত খারাপ সময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন।
১০. আপনি তার ব্যাপারে অনেক কান্নাকাটি করেন। আপনি কি
সম্পর্কের কারনে অনেক কান্নাকাটি করছেন? এটার মানে আপনি আপনি তার সাথে ভালো
নেই। সময় পেলে একা থাকতে চান?
১১. আপনারা একে অপরকে সন্মান করেন না। একটি সম্পর্কে সন্মান জিনিটা
অতীবও গুরত্বপূর্ণ। যদি আপনারা একে অপরকে তাকে সন্মান করতে না পারেন তাহলে আপনাদের
সম্পর্কটা শেষ করা দরকার।
১২. . আপনারা একে অপরকে
বিশ্বাস করেন না। বিশ্বাস
ছাড়া এটা কি ধরনের সম্পর্ক?
১৩. বড় সিদ্ধান্ত আপনি তাকে ছাড়া ই নেন।। একটা সফল সম্পর্কে
একে অপরের সাথে বড় সিদ্ধান্ত এবং জীবনের প্রতিটি দিক আলাপ আলোচনা করে নেয় । যদি
এমনটা না করে থাকেন তাহলে আপনাকে অন্য কারো প্রতি সরে আসা উচিৎ।
১৪.আপনি সব সময় তার সমালোচনা বা নিন্দা করেন। আপনি যদি সব সময় তাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেন, তাদের
আত্মবিশ্বাসে আঘাত করেন এবং আপনার নিচে রাখার চেষ্টা করেন তাহলে আপনার নিজেকে
জিজ্ঞাস করা উচিৎ কেন এমনটা করছেন?
আমরা নিশ্চিত
যে আপনি আপনার সম্পর্কের প্রারম্ভে এই রকম করেন নি, তাই এটি এখন কেন? সম্ভবত আপনি
এখন আর তাকে পছন্দ করেন না।
১৫। সে সব সময়
আপনার সমালোচনা বা নিন্দা করে। যদি আপনি সব সময় আপনার সঙ্গীর কাছথেকে
নিন্দা পেয়ে আসতে থাকেন তাহলে আপনাদের সম্পর্ক ছিন্ন করাটাই ভালো হবে।
১৬। আপনারা একে অপরের।
আপনারা যদি একে অপরের বিরক্ত হোন
এবং তাহলে আপনার নিজেকে জিজ্ঞাস করা উচিত
কেন এইভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চান।? একসময় আপনি তিক্ত ,বিরক্ত , রাগান্বিত হয়ে
তাকে কষ্ট দিবেন যেটা কারও জন্য ভালো নয়।
১৭. একজন অপরজনের উপহাসের পাত্র হওয়া। যদি এভাবে সব সময় একে অপরকে উপহাস করাটা
নিকৃষ্ট কাজ জার ফলে মনে হবে আপনার পাশে সে নেই।
১৮.এখন আর কি বলবেন সেটা আপনি জানেন না বা বলার মত কতা খুজে
পাচ্ছেন না। আপনাদের কথা কি ফুরিয়ে গেছে?
আপনি কি তার সাথে কথা বলে বিরক্ত হতে চান না এমনটা ভাবছেন? এটার মানে হচ্ছে
আপনাদের সম্পর্কের লাল ভাতি ঝলছে।
১৯.আপনারা একে অপরকে সমর্থন করেন না। এটা ভালো সম্পর্কের
মানে হচ্ছে একে অপরকে সমর্থন করবে এবং একে অপরের অনেক বড় অনুরাগী হবে। যদি আপনি
এইরকম উপলব্দি না করেন সম্ভবত আপনি অন্য কারো সাথে ভালো থাকবেন।
২০. আপনি সুখ পাচ্ছেন না বা নিজেকে সুখী মনে হচ্ছেনা।
নিজেকে জিজ্ঞাস করুন সত্যি কি আপনি সুখী ? যদি না হয় তাহলে আপনি অন্য কাউকে
নির্বাচন করুন।
২১. আপনারা একজন অপরজনকে দোষারোপ করেন। আপনি সব সময় মনে
করেন আপনার কোন দোষ নেই সব দোষ তার একইভাবে সে ও
মনে করে যে তার কোন দোষ নেই সব দোষ আপনার
তার মানে আপনারা কোন কিছু মেনে নিচ্ছেন না । এই অবস্থায় আপনাদের সম্পর্ক
নিয়ে আপনাদের কথা বলা উচিত।
২২. আপনারা একজন অপরজনের প্রতি মমতা বোধ দেখানো বন্ধ করে
দিয়েছেন। যদি আপনি কখনও হাত না ধরেন একজন অপরজনকে আলিঙ্গন না করেন এমনকি কেউ কারো
প্রতি মায়া প্রদর্শন না করে একজন আপরজন থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছেন তার মানে আপনাদের
সম্পর্কে জোড়া দেওয়ার বিষয়টা অনেকে দেরি হয়ে গেছে।
২৩। আপনার কাছে ভালো জিনিস গুলোও অনেক কঠিন লাগে। আপনার
সঙ্গীর বা সম্পর্কের ভালো গুণ গুলোও আপনার কাছে বিষাদের মত লাগে তার মানে আপানদের
সম্পর্ক যে শেষ এটা তার লক্ষণ।
২৪. আপনি ভিন্ন জিনিস চান। জীবনের লক্ষ্যগুলো যেকোন
ভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা খুবই গুরত্ব
পূর্ণ যদি তার সাথে থেকে আপনার লক্ষ্য গুলো পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়ে
তখন আপনি অন্য কিছু চিন্তা করবেন।
২৫। আপনারা কখনও একসাথে হাসি তামাশা করেন না। হাসি খুশি এবং
মজা করলে সম্পর্কে সেক্সসুয়াল আকর্ষণ, হাসিখুশি তৈরি হয় এবং সম্পর্কের ঝলঝলানি
জীবন্ত থাকে।
যদি আপনারা একসাথে কখনও হাসি তামাশা না করে থাকেন তাহলে
আপনাদের উচিত আলাদা হয়ে যাওয়া।
২৬. আপনি ভালোবাসা অনুভব করছেন না। নিজেকে জিজ্ঞাস করুন
আপনি কি সত্যি ভালোবাসা অনুভব করছেন । যদি
উত্তর হয়, না তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব
সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা আপনার জন্য ভাল হবে।
যদি আপনি আপনার সম্পর্কের দিকে তাকান এবং সত্যি দেখেন যে এই
লক্ষণ গুলো আপনাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মনে
করেন তাহলে এই লক্ষণ গুলো আপনাদের সম্পর্কের
বর্তমান আবস্থা বলে দি এবং আপনি
জানতে পারবেন যে আপনাদের সম্পর্ক শেষ এবং আপনাকে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে
সাহায্য করবে। যে মানুষের সাথে আপনার সামঞ্জস্য বা মনের মিল হচ্ছেনা তার সাথে সময়
অপচয় করার কোন মানে হয়না।
No Comment to " কিভাবে বুঝবেন আপনার সম্পর্কটি শেষঃ ২৬ টি লক্ষণে এই সত্যটি প্রকাশ পায়। "