১৩ টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন ক্ষন আপনার সম্পর্কে সাহায্য দরকার এবং কোথায় সেটা পাবেন।
সম্পর্কে কারও সাহায্য নিলে সেটা লজ্জার না। সম্পর্ক ভালো
রাখার জন্য সক্রিয় টাকা একটা মহান জিনিস। কিভাবে সাহায্য পেতে হয় এখানে সেটা বলা
হয়েছে।
কেউ তাদের সম্পর্কের জন্য সাহায্য নিতে চায়না। যাইহোক আপনি
যদি সত্যি আপনার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চান এবং ভালো রাখতে চান তাহলে মাঝে মাঝে
আপনাকে সাহয্য নেওয়ার মুখামুখি হতে হবে।
প্রকৃতপক্ষে সাহায্য পেতে প্রথম ধাপে আপনাকে জানতে হবে ক্ষন
আপনার সেটা দরকার।
আমি জানি অনেক লোক তাদের সম্পর্কের সমস্যা গুলি সম্পর্কে
কথা বলতে বিরত থাকাটা পছন্দ করে কিন্তু তাদের সাহায্য প্রয়োজন ।
আপনি যদি সত্যি তার প্রতি যত্ন নেন এবং সম্পর্ক চালিয়ে নিতে
চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ঘটনাগুলির মুখামুখি হতে হবে।
সব সম্পর্ক টিকে সংরক্ষিত নয় এটা শুনতে খারাপ লাগলেও এটা ই সত্যি।
এমনিকি আপনার সম্পর্ক ও সংরক্ষিত না ও হতে পারে আপনি যদি
আপনার সম্পর্ক সব সময় ভালো রাখতে চান তাহলে আপনাদের দুইজনকে খারাফ জিনিস গুলো নির্ধারণ
করতে যেটা অন্যরা করে সেটা করা বন্ধ করতে হবে।
তবে কখনও কখনও এটা
কাজ করবেনা। যদি আপনাদের মধ্যে দুরত্ব থাকে তাহলে এটা অতিক্রম করতে পারবেন না। যদি
আপনারা দুজনে ই চান যে সম্পর্কটি ভালো থাকুক তাহলে যেকোন ধরনের সাহয্য আপনাদের
জন্য অনেক কার্যকরী হবে।
কিভাবে বুঝবেন আপনাদের সম্পর্কে সাহায্য প্রয়োজন
যদি আপনি বুঝতে না পারেন যে আপনাদের সম্পর্কে কিছু গুরতর
সমস্যা রয়েছে ,তবে কিছু লক্ষণ আছে সেটাকে বুঝার জন্য।তবে আপনাকে নিজের ব্যপারে সৎ
হতে হবে যাতে সে চলে যাবার আগেই আপনি জিনিসগুলো ঠিক করতে পারেন।
১। আপনি কিছু বিষয়
নিয়ে প্রায় ঝগড়া ঝাটি করেন আর এভাবে সম্পর্ক চলছে।
আপনা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
বিষয় নিয়ে সবসময়
ঝগড়া করেন কিন্তু ঝগড়া ঝাটি কক্ষনও একটা
মানুষের আদর্শ হতে পারেনা।
যদি এমন হয়জে অনেক ঝগড়া ঝাতির পর ও আপনি খুশি তার মানে
আপনাদের সম্পর্কে অনেক বেশি সাহায্য দরকার।
২। আপনি একি জিনিস নিয়ে বার বার বিচলিত হয়ে পড়ছেন।
যদি আপনি একি জিনিস নিয়ে সব সময় বিচলিত হন তার মানে আপনাদের
সম্পর্কে সমস্যা যাচ্ছে। আপনার সঙ্গীকে বার বার বলার দরকার নেই যে আপনি ব্যপারটা
তে আঘাত পাচ্ছেন। যদি এমন হয় যে আপনি বলার পরও সে একি ভাবে আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে তার
মানে আপনার সাহায্য দরকার।
৩. সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হিসেবে শারিরিক সম্পর্ক
করছেন। লড়াইর পর কেবল শারিরিক সম্পর্ক করেই
একটা সম্পর্ক চালিয়ে নেওয়া যায়না বা ভালো করা যায়না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
এই পরিস্থিতে শারিরিক সম্পর্ক আপনি পুরাপুরি সুখ পান না। আসলে আপনি
সমস্যাটার সমাধান করতে না পারার কারনে এবং কলহ বন্ধ করার জন্যতার সাথে শারিরিক
সম্পর্ক করছেন। এটা অবশ্যই একটা বিশাল বিষয় যে আপনি সমস্যার সমাধান না করে সমস্যা গুলো মুড়িয়ে রাখছেন। আপনার
যে সাহায্য দরকার এটা তার একটা বড় লক্ষণ।
৪.আপনি সাধারন ভাবে শারিরিক সম্পর্ক করছেন না। যৌনতা ছাড়া
আপনি অন্য আর কিছু করছেন না এবং একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন না। এমন ভাবে থাকছেন
যে আপনার শুধু একজন অপরজনের বন্ধু হিসেবে আছেন। যদি এমনটা হয় তার মানে আপনাদের
সম্পর্কের খারাপ সময় যাচ্ছে।
৫. আপনার মনে হয় যে আপনার সঙ্গী আপনার ব্যাপারে মনোযোগী নয়।
এটি একটি বড় সমস্যা।। যদি এমনটা মনে হয় যে আপনার সঙ্গীর
আপনার প্রতি অনুভূতি নেই তার মানে আপনাদের সম্পর্কে অনেক দুরত্ব তৈরি হয়েছে। এই
দুরত্ব তাড়াতাড়ি শেষ মা করলে অচিরেই
আপনাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে।
৬. আপনার সঙ্গী প্রায় আপনাকে অপমান করে কথা বলে। এবং প্রায় অন্যদের সামনে আপনাকে নিয়ে তামাশা
করে এবমগ আপনাকে অপমান করে । হতে পারে তারা আপনার বড় নাক বা আপনার পোশাক নিয়ে
হাসাহাসি করে যদিও এটা বিশাল সমস্যা না তবে
এক সময় এসবের কারনে আপনাদের
সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে।
৭. আহত হওয়ার ভয়ে আপনার কাছে কিছুই ভালো
লাগছেনা। এমন যদি হয় যে আপনি কোন কিছু করতে পারেন সেটা তার সাথে বলাটা আপনার কাছে ভয় লাগে তাহলে আপনাদের একজন অপরজনের সাথে কথা বলা উচিত সমর্থনের
জন্য কিন্তু বিচারের জন্য নয়। যদি আপনারা এই রকম না করে থাকেন তাহলে এটা সম্পর্কের
একটা বড় সমস্যা।
৮. আপনি বিরক্ত বোধ করেন। সব সম্পর্কে বিরক্ত থাকে
এবং তার পর অনেক উত্তেজনাও থাকে।। যাইহোক আপনি যদি কিছু সময়ের জন্য বিরক্ত হন এবং চিন্তা
করছেন এটা থেকে বের হতে পারবেন না, তাহলে আনন্দ ফিরে পেয়ে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য
আপনার ছোটখাটো সাহায্য দরকার।
আপনি কোথায় থকে সাহায্য পেতে পারেন।
সৌভাগ্যবশত এই বিষয় গুলো আপনার পরিচিত সবার সাথে আলোচনা
করার দরকার নেই। আপনি যদি আপনার সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখতে চান তাহলে আপনার কিছু
সাহায্য দরকার যেটা সব সময় পাওয়া যায়। এখানে বিভিন্ন রকমের সাহায্যর কথা বলা আছে
যেগুলো আপনি পেতে পারেন বা নিতে পারেন।
১. একজন সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা।
যদি সত্যি সত্যি আপনার সমস্যা নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন কিন্তু সঙ্গীর সাথে আলাপ করাটা আপনি ভালো মনে
করছেন না তাহলে একজন সম্পর্ক বিষয়ক
উপদেষ্টার কাছে যাওয়াটা আপনার জন্য ভালো হবে।
আপনার বুকের জমানো কষ্ট দুর করার বিষয়ে উনি আপনাকে সাহায্য করবে। উনি আপনার
বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানবেন এবং সেই অনুযায়ী আপনাকে সমাধান দিবে।
২. ঘনিষ্ঠ কোন বন্ধুকে দিয়ে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করুন। যদি আপনাদের দুইজনের ঘনিষ্ঠ একজন বা দুইজন বন্ধু
থাকে তাদের কাছে সাহায্য চান । কি ঘটছে বা চলছে সেটা আপনার সঙ্গীকে বোঝনোর জন্য তাদেরকে বলুন ।
এমনকি তারা আপনাকেও বুঝাবে তার হয়ে ।
আপনার সম্পর্ক ভালো করার জন্য আপনি কেবল বিশ্বস্ত কোন বন্ধুকে এই কাজে ব্যবহার
করতে পারবেন।
৩. সৎ এবং সঠিক কথাটা বলুন। আমি জানি
যে, যে বিষয় গুলো ঘটছে সেগুলোতে যে আপনি খুশি নন
সেটা আপনার সঙ্গীর সাথে বসে মিটমাট
করা বা সে বিষয়ে কথা বলাটা খুবই কঠিন একটি
কাজ। আমি জানি ব্যাপারটি অনেক কঠিন। কিন্তু
আপনি যদি সমস্যার সমাধান করতে চান
তাহলে এটা হবে আপনাদের জন্য সর্বউত্তম পন্থা।
নিচে বসে সৎ এবং নিরপেক্ষ কথা
বার্তা বলুন। সব ভয় ভীতি, জড়তা ,অহংকার
ত্যাগ করে এই কাজটি করুন , সংযত আচরনে তাকে বলুন আপনি যখন শান্ত থাকেন কি পরিমান
আপনি তাকে অনুভব করেন বা মিস করেন। ফলে সে
দেখবে আপনি আগের থেকে কতটা পরিবর্তন আর ভালো হয়ে গেছেন।
No Comment to " ১৩ টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন ক্ষন আপনার সম্পর্কে সাহায্য দরকার এবং কোথায় সেটা পাবেন। "